ডেক্স রিপোর্ট।।
ইরানে হামলার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কমান্ডার মেজর জেনারেল সালামি।
তিনি বলেন,তোমাদেরকে (ইসরাইল) কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। প্রতিশোধের জন্য অপেক্ষা করো।
বৃহস্পতিবার ‘নাসরাল্লাহ’ নামে একটি যুদ্ধ মহড়ায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ হুমকি দেন।
সালামি আরও বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবো এবং মুসলিমদের ওপর তোমাদের আধিপত্য বিস্তার করতে দেব না।
মেজর জেনারেল সালামি বলেন, মুসলমানদের ছাড় দিতে, তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে, তাদের ভূমি দখল করতে এবং তাদের ধর্মীয় পরিচয় লুণ্ঠন করতে ইসরাইলি সরকারকে সহায়তা করার জন্য সমস্ত মিথ্যা শক্তি উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মুসলমানরা কখনো আত্মসমর্পণ করে না।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রতিশোধ নিচ্ছে। তারা দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান করছে এবং প্রতিদিন শত্রুর ওপর অপূরণীয় আঘাত হানছে।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার প্রতিশোধে ইসরাইলে হামলা করেছিল ইরান। পরে ইসরাইল ফের ইরানে হামলা করে। এবার ইরান সেই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলছে। তবে কবে প্রতিশোধ নেবে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনে চীন নিয়ে কঠোর মনোভাবের জন্য পরিচিত ব্যক্তিদের মনোনীত করছেন। যা তার বেইজিংয়ের প্রতি কঠোর অবস্থানকেই নির্দেশ করছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক পরিচালক জন র্যাটক্লিফকে সিআইএ প্রধান হিসেবে এবং আর্মি ভেটেরান পিট হেগসেথকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।
এছাড়াও ফ্লোরিডার কংগ্রেসম্যান মাইকেল ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদের প্রত্যেকেই চীনকে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে বড় হুমকি হিসেবে দেখেন এবং চীনের বিষয়ে কঠোর নীতি সমর্থন করেন।
ট্রাম্প টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক এবং বায়োটেক উদ্যোক্তা বিবেক রামস্বামীকে ‘গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ বিভাগের নেতৃত্ব দিতে মনোনীত করেছেন।
যদিও চীনের সঙ্গে মাস্কের উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি চীন-মার্কিন সম্পর্কে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।
এছাড়া ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন সাবেক বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনা পণ্যের ওপর ট্যারিফ আরোপে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। এবারও তিনি উচ্চহারে ট্যারিফ আরোপের পরিকল্পনা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন এশিয়ার মিত্র দেশগুলো বিশেষ করে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ দ্বিধাবিভক্ত থাকবে নিঃসন্দেহে। সূত্র: আল-জাজিরা।
সম্পাদক: শৈমং মার্মা (শৈবং)
নির্বাহী সম্পাদক: মংহাইথুই মার্মা
প্রধান কার্যালয়ঃ রুমা বাজার, মসজিদ গলি,রুমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
ফোন:০১৬৭৭১৪২৯৪৫,০১৫৫৩১২২৩৮৮।
ইমেইল : rumabarta23@gmail.com
www.rumabarta.com